ইসলাম ও ঈমান ? part 3
আগের পোস্ট এর পর......।। ঈমান আসলে একটা ব্যাপক বিষয়।সন্দেহজনক কার্যাবলী ত্যাগ করা হচ্ছে ঈমান।
আল্লাহ’র সিফাত এর সাথে শরীক না করা,আল্লাহ’র রাসুলের বিরুদ্ধতা না করা,সৎ
কাজের আদেশ অসৎ কাজ হতে নিষেধ করা হচ্ছে ঈমান, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা
করার নাম ইমান,নিজের লজ্জা স্থানের হেফাজত করা ঈমান।আর এক জনের হক, হালাল,
হারাম, মোনাফেকি,ওজনে কম দেয়া হতে বেঁচে থাকা ঈমান।আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে
যে সকল বিষয় মেনে চলতে বলেছেন তা মেনে চলা,যা ত্যাগ করতে বলেছেন তা ত্যাগ
করা,আল্লার রাসুল যা করেছেন তা মেনে চলা,আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের তরিকার
বাইরে কোনও নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন না করা হচ্ছে ইমান।এমন কি রাস্তা থেকে
ক্ষতিকারক বস্তু সরিয়ে ফেলাও ঈমান। রাষ্ট্রের ও সমাজের কোনও অনৈসলামিক
কাজের প্রতিবাদ করা ও ঈমান।যথাসময়ে নামাজ পড়া,রোজা রাখা, অর্থ থাকলে
যথাসময়ে তাঁর যাকাত দেয়া,হজ্জ করা,এতিম মিসকিনকে আহার দান করা ,আল্লার
রাস্তায় নিজের ধন সম্পদ ব্যয় করা ইত্যাদি। এক কথায় আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের
সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালের উপর বিস্বাস, সকল আগের নবী ও রাসুলের
স্বীকৃত,সকল আসমানি কিতাবের উপর মৌখিক বিশ্বাস ও অন্তরে দৃঢ়তার সাথে পালন
করার নাম ঈমান।আবু হুরায়রা(রাঃ) হইতে বর্ণিত ,মহানবী হজরত মোহাম্মাদ(সঃ)
বলেছেন, ঈমানের শাখা প্রশাখা ষাট হইতে অধিক এবং লজ্জাশরম ঈমানের অন্যতম
শাখা।বোখারি সরিফ,হাদিছ নম্বর-৮,খণ্ড-১।
মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে বলেছেন- “রাসুলকে যে মানে সে যেন আল্লাহ’র হুকুম মানিল,এবং যে অবাধ্য হইলো তবে তোমাকে তাদের প্রতি প্রহরী নির্বাচন করি নাই”-সূরা নিসা,আয়াত-৮০।আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীন চিন্তা ও বিবেক দিয়ে। আল্লাহ্ যাকে হেদায়েত করেন সেই হেদায়েতের যোগ্য। আল্লাহ্ শুধু তাঁর রাসুল এবং রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত আদেশ নিষেধ বা কিতাব দিয়েছেন মানুষ কিভাবে চলবে তার জন্য।এই সব পূর্ববর্তী কিতাবসমুহ এবং এর ধারাবাহিকতায় তাঁর রাসুলের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন পূর্বের সকল কিতাবকে রহিত করে দিয়ে মহান আল্লাহ্ জীবন বিধান হিসাবে আমাদেরকে দিয়েছেন।এটাই শেষ কিতাব।এর কোনও সংযোজন বা বিয়োজন করার কারো কোনও অধিকার নেই। এ জন্যই আল্লাহ্ তার রাসুলকে বলেছেন আপনার দায়িত্ব শুধু আমার বিধি বিধানগুলো পৌঁছে দেয়া।কেউ মানল কি মানলো না তার দায়ীত্ব আপনার নয়।কারন আল্লার রাসুল আল্লার মাধ্যমে যাই বলেন তা ভালো কথা,হেদায়েতের কথা।যার ইচ্ছা সে হেদায়েত নেবে যার ইচ্ছা সে নেবে না।কারন কেহ কারো কাজের জন্য জবাবদিহি করবে না ।সূরা আহজাব আয়াত ২১ এ আল্লাহ্ বলেছেন-“তোমাদের জন্য ও যারা আল্লাহ্ এবং কেয়ামত দিবসের আকাংখা করে ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসূলুল্লাহের মধ্যে উত্তম আদর্শ”।এই ভালো মন্দ বুঝার জন্যই মানুষকে বিবেক দেয়া হয়েছে।তাই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা।আল্লাহ শুধু মানুষের কাছে তাঁর দেয়া নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা চান অন্য কিছু না।মনে রাখতে আল্লাহ্ স্বাধীন, অমুখাপেক্ষী, অভাবহীন, প্রসংসিত।আল্লাহু আ’হাদ-আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়।আল্লা-হুছ ছামাদ-আল্লা সকল বিষয়ে সতন্ত্র।লাম ইয়ালিদ অলাম ইউ লাদ-তিনি কারো থেকে জন্ম নেন নাই কাউকে জন্ম ও দেন নাই।ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু ক্বুফুয়ান আ’হাদ-না তাঁর সমকক্ষ আছে কেউ। এই হচ্ছে আল্লার পরিচয় যা মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে দিয়েছেন। তাই দুনিয়ার সকল মানুষ যদি একযোগে ভালো হয়ে যায় তাহলে আল্লার কোন লাভ নেই আবার সবাই যদি একযোগে খারাপ হয়ে যায় তাহলে ও আল্লার কোনও ক্ষতি নেই।এ জন্যই আল্লাহ্ নিজেই পবিত্র কোরআন বুঝে পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।যে যত বুঝবে কোরআন সে তত আল্লাহ্ ভিরু হবে।এটাই মহান আল্লাহ্ আমাদের কাছে চান। তাই তো সূরা বাকারায় আয়াত ৭৮ এ আল্লাহ্ বলেছেন,”ওদের কতিপয় মূর্খ আছে, যারা কিতাব বুঝে না কেবল মুখে পাঠ করে,মিথ্যা আশায় মগ্ন তারা”।তাই কোরআন বুঝা ও ঈমান। আবার আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে না চললে কি হবে তাও আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে সূরা মুহাম্মাদ আয়াত ৩৩ এ বলেছেন-“হে বিশ্বাসীগন! তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং ব্যার্থ করিও না তোমাদের কর্ম”। সূরা নূর আয়াত ৫২ এ –“যারা আল্লাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করে,আল্লাহ কে ভয় করে ও সাবধান থাকে তারাই বিজয়ী”।এ বিজয় সে দিনের যে দিন সকল আমলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। যে দিন মৃত্যুকে জবাই করা হবে,বেহেস্ত দোজখ নির্ধারিত হয়ে যাবে। সে দিন বিজয়ীদের সাথী হবেন কারা তাও পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ বলেছেন সূরা নিসার ৬৯ নম্বর আয়াতে “যারা আল্লাহ্ ও রাসুলের আদেশ মান্য করে,তারা বেহেস্তে সংগী হইবে নবী, সত্যবাদি, শহীদ, এবং নেককারদের,তারা কত সুন্দর সংগী”। তাই আসুন আমরা শুধু মুসলমানের ঘরে জন্ম হয়েছে বলে মুসলিম না হয়ে আল্লাহ্ যে রকম গোলাম চান সে রকম হই। ঈমান মজবুত করার জন্য মেহনত করি।নিয়মিত কোরআন বুঝে পড়ি এবং আল্লার রাসুলের প্রতি দুরুদ শরীফ পাঠ করি। শেষ...
মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে বলেছেন- “রাসুলকে যে মানে সে যেন আল্লাহ’র হুকুম মানিল,এবং যে অবাধ্য হইলো তবে তোমাকে তাদের প্রতি প্রহরী নির্বাচন করি নাই”-সূরা নিসা,আয়াত-৮০।আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীন চিন্তা ও বিবেক দিয়ে। আল্লাহ্ যাকে হেদায়েত করেন সেই হেদায়েতের যোগ্য। আল্লাহ্ শুধু তাঁর রাসুল এবং রাসুলের মাধ্যমে প্রেরিত আদেশ নিষেধ বা কিতাব দিয়েছেন মানুষ কিভাবে চলবে তার জন্য।এই সব পূর্ববর্তী কিতাবসমুহ এবং এর ধারাবাহিকতায় তাঁর রাসুলের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন পূর্বের সকল কিতাবকে রহিত করে দিয়ে মহান আল্লাহ্ জীবন বিধান হিসাবে আমাদেরকে দিয়েছেন।এটাই শেষ কিতাব।এর কোনও সংযোজন বা বিয়োজন করার কারো কোনও অধিকার নেই। এ জন্যই আল্লাহ্ তার রাসুলকে বলেছেন আপনার দায়িত্ব শুধু আমার বিধি বিধানগুলো পৌঁছে দেয়া।কেউ মানল কি মানলো না তার দায়ীত্ব আপনার নয়।কারন আল্লার রাসুল আল্লার মাধ্যমে যাই বলেন তা ভালো কথা,হেদায়েতের কথা।যার ইচ্ছা সে হেদায়েত নেবে যার ইচ্ছা সে নেবে না।কারন কেহ কারো কাজের জন্য জবাবদিহি করবে না ।সূরা আহজাব আয়াত ২১ এ আল্লাহ্ বলেছেন-“তোমাদের জন্য ও যারা আল্লাহ্ এবং কেয়ামত দিবসের আকাংখা করে ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসূলুল্লাহের মধ্যে উত্তম আদর্শ”।এই ভালো মন্দ বুঝার জন্যই মানুষকে বিবেক দেয়া হয়েছে।তাই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা।আল্লাহ শুধু মানুষের কাছে তাঁর দেয়া নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা চান অন্য কিছু না।মনে রাখতে আল্লাহ্ স্বাধীন, অমুখাপেক্ষী, অভাবহীন, প্রসংসিত।আল্লাহু আ’হাদ-আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়।আল্লা-হুছ ছামাদ-আল্লা সকল বিষয়ে সতন্ত্র।লাম ইয়ালিদ অলাম ইউ লাদ-তিনি কারো থেকে জন্ম নেন নাই কাউকে জন্ম ও দেন নাই।ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু ক্বুফুয়ান আ’হাদ-না তাঁর সমকক্ষ আছে কেউ। এই হচ্ছে আল্লার পরিচয় যা মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে দিয়েছেন। তাই দুনিয়ার সকল মানুষ যদি একযোগে ভালো হয়ে যায় তাহলে আল্লার কোন লাভ নেই আবার সবাই যদি একযোগে খারাপ হয়ে যায় তাহলে ও আল্লার কোনও ক্ষতি নেই।এ জন্যই আল্লাহ্ নিজেই পবিত্র কোরআন বুঝে পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।যে যত বুঝবে কোরআন সে তত আল্লাহ্ ভিরু হবে।এটাই মহান আল্লাহ্ আমাদের কাছে চান। তাই তো সূরা বাকারায় আয়াত ৭৮ এ আল্লাহ্ বলেছেন,”ওদের কতিপয় মূর্খ আছে, যারা কিতাব বুঝে না কেবল মুখে পাঠ করে,মিথ্যা আশায় মগ্ন তারা”।তাই কোরআন বুঝা ও ঈমান। আবার আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে না চললে কি হবে তাও আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে সূরা মুহাম্মাদ আয়াত ৩৩ এ বলেছেন-“হে বিশ্বাসীগন! তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং ব্যার্থ করিও না তোমাদের কর্ম”। সূরা নূর আয়াত ৫২ এ –“যারা আল্লাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করে,আল্লাহ কে ভয় করে ও সাবধান থাকে তারাই বিজয়ী”।এ বিজয় সে দিনের যে দিন সকল আমলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। যে দিন মৃত্যুকে জবাই করা হবে,বেহেস্ত দোজখ নির্ধারিত হয়ে যাবে। সে দিন বিজয়ীদের সাথী হবেন কারা তাও পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ বলেছেন সূরা নিসার ৬৯ নম্বর আয়াতে “যারা আল্লাহ্ ও রাসুলের আদেশ মান্য করে,তারা বেহেস্তে সংগী হইবে নবী, সত্যবাদি, শহীদ, এবং নেককারদের,তারা কত সুন্দর সংগী”। তাই আসুন আমরা শুধু মুসলমানের ঘরে জন্ম হয়েছে বলে মুসলিম না হয়ে আল্লাহ্ যে রকম গোলাম চান সে রকম হই। ঈমান মজবুত করার জন্য মেহনত করি।নিয়মিত কোরআন বুঝে পড়ি এবং আল্লার রাসুলের প্রতি দুরুদ শরীফ পাঠ করি। শেষ...
No comments