ইসলাম কি? What is Islam? part 2
আগের পোস্ট এর পর......।। উক্ত আয়াত গুলোতে মহান আল্লাহ্ কসম করে বলেছেন যে,এই কোরআনে বর্ণিত সকল
কিছুই তাঁর বানী যা তিনি তাঁর সম্মানিত রাসুল মারফত প্রেরণ করেছেন।এটা কোনও
কবি বা কাহিনিকারের দ্বারা রচনা করা সম্ভব নয়।পবিত্র কোরআনের আয়াত গুলো
অবশ্যই মহান রব্বুল আ’লামিনের বানী এবং আল্লাহ’র রাসূল যদি এতে কোনও রকম
পরিবর্তন করতেন তবে আল্লাহ্ তাঁর রাসুলকে কঠোর ভাবে ধরতেন এবং কণ্ঠশিরা
কেটে দিতেন যাতে মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।এবং আল্লাহ্ এও বলেছেন যে তোমরা
সল্পসংখ্যক তা অনুধাবন করো যা একান্তই মোত্তাকিদের জন্য উপদেশ।এখানে মহান
আল্লাহ্ নিজে তাঁর রাসূলের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, রাসুল যা বলেছেন
তা আল্লাহ’র কথা, রাসূল যা করেছেন বা করেননি তা মূলত আল্লার নির্দেশ, এবং
নির্দেশ পালনে বিস্বস্ত ও কোনও হঠকারিতার আশ্রয় নেননি।
আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই সিদ্বান্তে আসতে পারি যে,আল্লার রাসুল এক আল্লাহ্ তে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং আল্লার আইনের বাধ্য ছিলেন এবং আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দেশিত বাণীর অস্বীকৃতি হতে মুক্ত ছিলেন এবং হঠকারিতা হতে ও সম্পূর্ণ রুপে মুক্ত ছিলেন।মহানবীর পর তাঁর উম্মতদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব যারা চর্মচক্ষে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) দেখেছিলেন এবং তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন তারা সকলেই ছিলেন মহানবীর জীবনাদর্শের প্রধানতম উদাহরন।তাঁদের জীবন ছিলো রাসুলের মহব্বতে পরিপূর্ণ।সেই সব সাহাবী(রাঃ) এর জীবনাদর্শ,পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের রাষ্ট্র পরিচালনা,তাদের জীবন যাপন এইগুলিতে আমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলেরর পায়রবির অনন্য নমুনা দেখতে পাই।এটাই ইসলাম। ইসলাম কোনো বিজ্ঞাপন নয় যে মানুষ কে বিশেষ ভাবে নানা কলা কৌশলে জানাতে হবে যে ইসলাম একটি ভালো মত বা পথ। বরং ইসলাম এমন একটি পথ,যা দেখে অন্য মানুষের আপনার সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হবে যে, লোকটি কোন মত বা পথের অনুসারী এবং মানুষ আপনার বাবহার,আচার,আচরন দেখে আপনার প্রতি আগ্রহ বোধ করবে। “ছাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর(রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন- মুসলমান ঐ ব্যাক্তি যাহার কোন কথা বা কাজের দারা অন্য মুসলমানের কষ্ট না ঘটে।মুহাজের ঐ ব্যাক্তি যে আল্লাহ’র নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ পরিত্যাগ ও বর্জন করিয়াছে- বোখারি শরিফ,প্রথম খণ্ড-হাদিস নম্বর ৯।এবং আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে
সূরা বাকারার আয়াত ২৫৭ তে বলেছেন-“আল্লাহ্ ঈমানদারদের পরম বন্ধু,তিনি তাদিগে লইয়া আসেন অন্ধকার হইতে আলোর দিকে এবং অবিশ্বাসীদের অভিভাবক হলো শয়তান, তারা তাদের লইয়া যায় আলো হইতে আন্ধকারের দিকে;ওরাই দোজখবাসি, সেখানে তারা অবস্থান করবে চিরকাল”।
ইসলাম একটি ধর্ম।পাঁচটি মৌলিক জিনিষের উপর ইসলাম ধর্মের ভিত্তি স্থাপিত।তার মধ্যে সর্বপ্রধান হচ্ছে ঈমান।মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে ও তাঁর রাসুলের হাদিছের মাধ্যমে যা কিছু মানব জাতির জন্য প্রেরণ করেছেন তা মনে প্রানে বিশ্বাস করা এবং মৌখিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়াকে ঈমান বলে।আরবীতে ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই সিদ্বান্তে আসতে পারি যে,আল্লার রাসুল এক আল্লাহ্ তে আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং আল্লার আইনের বাধ্য ছিলেন এবং আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দেশিত বাণীর অস্বীকৃতি হতে মুক্ত ছিলেন এবং হঠকারিতা হতে ও সম্পূর্ণ রুপে মুক্ত ছিলেন।মহানবীর পর তাঁর উম্মতদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব যারা চর্মচক্ষে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সঃ) দেখেছিলেন এবং তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন তারা সকলেই ছিলেন মহানবীর জীবনাদর্শের প্রধানতম উদাহরন।তাঁদের জীবন ছিলো রাসুলের মহব্বতে পরিপূর্ণ।সেই সব সাহাবী(রাঃ) এর জীবনাদর্শ,পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের রাষ্ট্র পরিচালনা,তাদের জীবন যাপন এইগুলিতে আমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলেরর পায়রবির অনন্য নমুনা দেখতে পাই।এটাই ইসলাম। ইসলাম কোনো বিজ্ঞাপন নয় যে মানুষ কে বিশেষ ভাবে নানা কলা কৌশলে জানাতে হবে যে ইসলাম একটি ভালো মত বা পথ। বরং ইসলাম এমন একটি পথ,যা দেখে অন্য মানুষের আপনার সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হবে যে, লোকটি কোন মত বা পথের অনুসারী এবং মানুষ আপনার বাবহার,আচার,আচরন দেখে আপনার প্রতি আগ্রহ বোধ করবে। “ছাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর(রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন- মুসলমান ঐ ব্যাক্তি যাহার কোন কথা বা কাজের দারা অন্য মুসলমানের কষ্ট না ঘটে।মুহাজের ঐ ব্যাক্তি যে আল্লাহ’র নিষিদ্ধ বিষয় সমূহ পরিত্যাগ ও বর্জন করিয়াছে- বোখারি শরিফ,প্রথম খণ্ড-হাদিস নম্বর ৯।এবং আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে
সূরা বাকারার আয়াত ২৫৭ তে বলেছেন-“আল্লাহ্ ঈমানদারদের পরম বন্ধু,তিনি তাদিগে লইয়া আসেন অন্ধকার হইতে আলোর দিকে এবং অবিশ্বাসীদের অভিভাবক হলো শয়তান, তারা তাদের লইয়া যায় আলো হইতে আন্ধকারের দিকে;ওরাই দোজখবাসি, সেখানে তারা অবস্থান করবে চিরকাল”।
ইসলাম একটি ধর্ম।পাঁচটি মৌলিক জিনিষের উপর ইসলাম ধর্মের ভিত্তি স্থাপিত।তার মধ্যে সর্বপ্রধান হচ্ছে ঈমান।মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে ও তাঁর রাসুলের হাদিছের মাধ্যমে যা কিছু মানব জাতির জন্য প্রেরণ করেছেন তা মনে প্রানে বিশ্বাস করা এবং মৌখিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়াকে ঈমান বলে।আরবীতে ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।
No comments