Breaking News

১৬ আগস্টের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের বোনাস দেয়ার নির্দেশ

ইসলাম কি? What is Islam? Part 1

ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা এবং বাধ্যতা, অস্বীকৃতি ও হটকারিতা ত্যাগ করা। এখানে আত্মসমর্পণ করার অর্থ হচ্ছে এক আল্লাহ্‌ তে নিজেকে সমর্পণ করা। একমাত্র আল্লাহ্‌ ই স্থায়ী বাকি যা কিছু আছে সবই ক্ষণস্থায়ী,ভঙ্গুর।সব কিছুই সাবেক হবে একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া-এই বিশ্বাস দৃঢ় ভাবে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং বাধ্যতা হচ্ছে আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে যে পদ্ধতিতে জীবন যাপনের জন্য বলেছেন সেই সীমানার মধ্যে থেকে জীবন যাপন করা। আল্লাহ’র বন্ধু,শেষ নবী,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,মহানবী হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওসাল্লাম এর জীবন যাপন পদ্ধতিতে যা রয়েছে তাই ইসলাম। আল্লাহ’র রাসূলের জীবন,আচার, আচরন,চলাফেরা,খাদ্য,কথা,পোশাক,স্ত্রী, পরিজন,সমাজ,আত্মীয়,স্বজন,প্রতিবেশী,যুদ্ধ,হারাম,হালাল সকল কিছুই এক আল্লাহ্‌ তে সমর্পিত।পবিত্র কোরআন ও ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্দেশের বাধ্য বাধকতায় থাকার এক অপূর্ব নিদর্শন ।রাসূলকে মানা,রাসূল যে ভাবে সকল ক্ষেত্রে এক আল্লাহ্‌ তে আত্মসমর্পণ করে এবং আল্লাহ’র নির্দেশিত সীমানা মেনে চলেছেন তাই ইসলাম। রাসুলের সমগ্র জীবন এক ব্যবহারিক কোরআন।মাওলানা রুমী(রঃ) বলেছেন, “আল্লাহ্‌ তা’য়ালার বক্তব্যই ঠিক ঠিক অবিকল রুপে রাসুলের কণ্ঠে প্রকাশ পাইয়া থাকে”।তার প্রমান মহান আল্লাহ্‌ তা’য়ালা তাঁর পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন।“বহু রাসুল তোমার পূর্বে ও প্রেরন করিয়াছি, দিয়াছিলাম তা দিগকে স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি এবং কোন রাসুলের কাজ নহে কোন আয়াত আনয়ন করে আল্লাহ্‌র বিনা হুকুমে;প্রত্যেকের জন্য আছে লিখিত নির্ধারিত কাল”- সূরা রা’আদ আয়াত ৩৮।এ আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে রাসুল নিজ থেকে কখন ও কিছু বলেন নি।যা কিছু আল্লার রাসূল করেছেন তার সবকিছুই আল্লার ইচ্ছার অধীন,এ কথা অকাট্য ভাবে প্রমাণিত এবং সূরা আল-হাক্ব’ক্বাহ তে মহান আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূলের যে নিজ থেকে কিছু বলার অধিকার নেই সে কথা ও প্রমাণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ বলেছেন-“তোমাদের দৃশ্যমান বস্তুর কসম করিয়াছি, এবং অদৃশ্যমান বস্তুর,উহা সম্মানিত রাসুল মারফত প্রেরিত বানী, নয় তা কবির উক্তি-এতে তোমরা সল্প সংখ্যক বিশ্বাসী,নয় কাহিনিকারের বানী;তোমরা সল্প সংখ্যক অনুধাবন করো,বরং রাব্বুল আ’লামিন হইতে অবতীর্ণ,সে যদি আমার নামে বানোয়াট কথা বলিত,দমন করিতাম তাকে কঠোর হস্তে,কাটিয়া দিতাম কণ্ঠশিরা,তখন তোমাদের কেহই তাকে করিতে পারিত না রক্ষা,একান্তই উহা মোত্তাকিদের জন্য উপদেশ”-সূরা আল হাক্বক্বাহ আয়াত (৩৮-৪৮)।

No comments

ইসলাম কি? What is Islam? Part 1

ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা এবং বাধ্যতা, অস্বীকৃতি ও হটকারিতা ত্যাগ করা। এখানে আত্মসমর্পণ করার অর্থ হচ্ছে এক আল্লাহ্‌ তে নিজেকে সমর্পণ করা। একমাত্র আল্লাহ্‌ ই স্থায়ী বাকি যা কিছু আছে সবই ক্ষণস্থায়ী,ভঙ্গুর।সব কিছুই সাবেক হবে একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া-এই বিশ্বাস দৃঢ় ভাবে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং বাধ্যতা হচ্ছে আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআনে যে পদ্ধতিতে জীবন যাপনের জন্য বলেছেন সেই সীমানার মধ্যে থেকে জীবন যাপন করা। আল্লাহ’র বন্ধু,শেষ নবী,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব,মহানবী হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওসাল্লাম এর জীবন যাপন পদ্ধতিতে যা রয়েছে তাই ইসলাম। আল্লাহ’র রাসূলের জীবন,আচার, আচরন,চলাফেরা,খাদ্য,কথা,পোশাক,স্ত্রী, পরিজন,সমাজ,আত্মীয়,স্বজন,প্রতিবেশী,যুদ্ধ,হারাম,হালাল সকল কিছুই এক আল্লাহ্‌ তে সমর্পিত।পবিত্র কোরআন ও ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্দেশের বাধ্য বাধকতায় থাকার এক অপূর্ব নিদর্শন ।রাসূলকে মানা,রাসূল যে ভাবে সকল ক্ষেত্রে এক আল্লাহ্‌ তে আত্মসমর্পণ করে এবং আল্লাহ’র নির্দেশিত সীমানা মেনে চলেছেন তাই ইসলাম। রাসুলের সমগ্র জীবন এক ব্যবহারিক কোরআন।মাওলানা রুমী(রঃ) বলেছেন, “আল্লাহ্‌ তা’য়ালার বক্তব্যই ঠিক ঠিক অবিকল রুপে রাসুলের কণ্ঠে প্রকাশ পাইয়া থাকে”।তার প্রমান মহান আল্লাহ্‌ তা’য়ালা তাঁর পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন।“বহু রাসুল তোমার পূর্বে ও প্রেরন করিয়াছি, দিয়াছিলাম তা দিগকে স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি এবং কোন রাসুলের কাজ নহে কোন আয়াত আনয়ন করে আল্লাহ্‌র বিনা হুকুমে;প্রত্যেকের জন্য আছে লিখিত নির্ধারিত কাল”- সূরা রা’আদ আয়াত ৩৮।এ আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে রাসুল নিজ থেকে কখন ও কিছু বলেন নি।যা কিছু আল্লার রাসূল করেছেন তার সবকিছুই আল্লার ইচ্ছার অধীন,এ কথা অকাট্য ভাবে প্রমাণিত এবং সূরা আল-হাক্ব’ক্বাহ তে মহান আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূলের যে নিজ থেকে কিছু বলার অধিকার নেই সে কথা ও প্রমাণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ বলেছেন-“তোমাদের দৃশ্যমান বস্তুর কসম করিয়াছি, এবং অদৃশ্যমান বস্তুর,উহা সম্মানিত রাসুল মারফত প্রেরিত বানী, নয় তা কবির উক্তি-এতে তোমরা সল্প সংখ্যক বিশ্বাসী,নয় কাহিনিকারের বানী;তোমরা সল্প সংখ্যক অনুধাবন করো,বরং রাব্বুল আ’লামিন হইতে অবতীর্ণ,সে যদি আমার নামে বানোয়াট কথা বলিত,দমন করিতাম তাকে কঠোর হস্তে,কাটিয়া দিতাম কণ্ঠশিরা,তখন তোমাদের কেহই তাকে করিতে পারিত না রক্ষা,একান্তই উহা মোত্তাকিদের জন্য উপদেশ”-সূরা আল হাক্বক্বাহ আয়াত (৩৮-৪৮)।

No comments