জিলাপির_প্যাঁচ_ও_মাহাথির_মোহাম্মদ"
মাহাথির মোহাম্মদ একদিন
ঘুরতে ঘুরতে গিয়ে বসেছিলেন কুয়ালালামপুরের এক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে
।শুনেছেন রেস্টুরেন্টটিতে “জিলাপি” নামক বাংলাদেশের মিষ্টি জাতীয় খাবারটি
পাওয়া যায়। কারন তিনি যখন বাংলাদেশে পড়াশোনা করতেন তখন থেকেই 'জিলাপি খেতে
পছন্দ করতেন, তাই খেতে এসেছিলেন সেখানে। তাঁর কাছ থেকে অর্ডার নিচ্ছিল এক
বাংলাদেশী তরুণ।
ক্যাশ থেকে ম্যানেজার হাঁক দিলেন, ” আক্কাস, শুইনা যাও….”
তরুণটি বললো, ” আহি ওস্তাদ…! ”
ক্যাশ থেকে ম্যানেজার হাঁক দিলেন, ” আক্কাস, শুইনা যাও….”
তরুণটি বললো, ” আহি ওস্তাদ…! ”
“ওস্তাদ” শব্দটি মাহাথির সাহেবের খুব পছন্দ হয়ে গেল। তরুণটিকে জিজ্ঞেস করলেন ” What is Ostad? ”
তরুণ আক্কাস তাঁকে অনেক ভাবে “ওস্তাদ” শব্দের মানে বোঝালো, শেষে উদাহরণ দিলো “এই যে মনে করেন আপনি টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার ওস্তাদ ছিলেন, এখন আর নাই….”
মাহাথিরের মনটা একটু খারাপ হলো….২০০৩ এ স্বেচ্ছায় নিজের সাম্রাজ্যের ওস্তাদগিরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, এখন একটু আফসোসও হচ্ছে!…. বয়সটাও অনেক হয়ে গেছে……
মনের ভাব বুঝতে পারলো রেস্টুরেন্ট বয় আক্কাস বললো, ” স্যার, আমাদের দেশে আরেকটা কথা আছে- ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে! ”
“মানে?”
আক্কাস আবার বললো, “কিছু মনে কইরেন না স্যার! মনে করেন মানুষের পুরাটা জীবন সমান একদিন আর এক রাইত। সেই হিসাবে আপনার ৯০ বছর বয়স মানে জীবনের প্রায় শেষ ভাগ,…. মানে শেষ রাইত। আপনার শিষ্যরা এখন আপনারে আগের মতো মানে না। এই অবস্থায় যদি আপনি ইলেকশন কইরা জিততে পারেন তাহলে বলা যাবে, ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে!
হা করে তাকিয়ে রইলেন মাহাথির! এই তরুণ হঠাৎই তাঁর সুপ্ত বেদনাকে জাগিয়ে তুলেছে! সত্যিই তো, তাঁর নিজ হাতে গড়া লোকগুলো আজ তাঁকে খুব বেশি পাত্তা দিচ্ছে না! এদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে! শিক্ষা দিতে হলে ইলেকশন করতে হবে, জিততে হবে। কিন্তু কী করে সম্ভব….এই বয়সে…..?
” কী করে সম্ভব?” মাহাথির বললেন।
ততক্ষণে জিলাপি চলে এসেছে।
আক্কাস বললো, “স্যার, এই জিলাপির দিকে তাকাইয়া দেখেন।…. দেখেন অনেকগুলি প্যাঁচ! এর কারিগরকে ডেকে দেখেন, সেও এই প্যাঁচ খুলতে পারবে না!
আপনারও এই জিলাপির মতো প্যাঁচ দিতে হবে, যা আপনার বিরোধীরা কেন, আপনিও যেন খুলতে না পারেন! আমাদের দেশে পলিটিশিয়ানরা কিন্তু এ ব্যাপারে আদর্শ! ”
মাহাথির জিলাপি নামক বাংলা খাবারটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন।
সেদিন চলে আসার সময় তিনি আক্কাসকে ৫ রিংগিত টিপস দিয়েছিলেন।
আবারো ওস্তাদ হওয়ার মিশনে নামলেন মাহাথির। তাঁর সামনে মডেল হলো জিলাপি আর বাংলাদেশী পলিটিশিয়ান!
শত্রুকে মিত্র করলেন, মিত্রকে করলেন শত্রু!
তাঁর নিজের দলের প্রধানমন্ত্রীর (নাজিব রাজাক) বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি!
যে দল তাঁর আদর্শ ও দেখানো পথে চলে, সেই দলকেই পরিত্যাগ করলেন মাহাথির!
জিলাপীর প্যাঁচের এখানেই শেষ নয়!
যোগ দিলেন সেই দলে যে দলের প্রধান (আনোয়ার ইব্রাহীম)! তাঁরই ইশারায় জেলে আছেন বলে জোর গুঞ্জণ আছে!
আবার প্রধান সহযোগী করলেন সেই আনোয়ার ইব্রাহিম এর স্ত্রীকে!
জোটে নিলেন সে সব বিরোধী দলগুলোকে যারা সারাজীবন মাহাথিরের রাজনীতির বিরোধিতা করেছিল!
বাংলাদেশে বলা হয়ে থাকে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই…..ব্যাপারটা তিনি জানতে পেরেছেন!
নাজিব রাজাক বিচলিত!
মাহাথির তাঁর চিকন ফ্রেমের চশমা মুছতে মুছতে ভাবছেন, কেমন হলো তাঁর ” জিলাপির প্যাঁচ”!
তরুণ আক্কাস তাঁকে অনেক ভাবে “ওস্তাদ” শব্দের মানে বোঝালো, শেষে উদাহরণ দিলো “এই যে মনে করেন আপনি টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার ওস্তাদ ছিলেন, এখন আর নাই….”
মাহাথিরের মনটা একটু খারাপ হলো….২০০৩ এ স্বেচ্ছায় নিজের সাম্রাজ্যের ওস্তাদগিরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, এখন একটু আফসোসও হচ্ছে!…. বয়সটাও অনেক হয়ে গেছে……
মনের ভাব বুঝতে পারলো রেস্টুরেন্ট বয় আক্কাস বললো, ” স্যার, আমাদের দেশে আরেকটা কথা আছে- ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে! ”
“মানে?”
আক্কাস আবার বললো, “কিছু মনে কইরেন না স্যার! মনে করেন মানুষের পুরাটা জীবন সমান একদিন আর এক রাইত। সেই হিসাবে আপনার ৯০ বছর বয়স মানে জীবনের প্রায় শেষ ভাগ,…. মানে শেষ রাইত। আপনার শিষ্যরা এখন আপনারে আগের মতো মানে না। এই অবস্থায় যদি আপনি ইলেকশন কইরা জিততে পারেন তাহলে বলা যাবে, ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে!
হা করে তাকিয়ে রইলেন মাহাথির! এই তরুণ হঠাৎই তাঁর সুপ্ত বেদনাকে জাগিয়ে তুলেছে! সত্যিই তো, তাঁর নিজ হাতে গড়া লোকগুলো আজ তাঁকে খুব বেশি পাত্তা দিচ্ছে না! এদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে! শিক্ষা দিতে হলে ইলেকশন করতে হবে, জিততে হবে। কিন্তু কী করে সম্ভব….এই বয়সে…..?
” কী করে সম্ভব?” মাহাথির বললেন।
ততক্ষণে জিলাপি চলে এসেছে।
আক্কাস বললো, “স্যার, এই জিলাপির দিকে তাকাইয়া দেখেন।…. দেখেন অনেকগুলি প্যাঁচ! এর কারিগরকে ডেকে দেখেন, সেও এই প্যাঁচ খুলতে পারবে না!
আপনারও এই জিলাপির মতো প্যাঁচ দিতে হবে, যা আপনার বিরোধীরা কেন, আপনিও যেন খুলতে না পারেন! আমাদের দেশে পলিটিশিয়ানরা কিন্তু এ ব্যাপারে আদর্শ! ”
মাহাথির জিলাপি নামক বাংলা খাবারটির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন।
সেদিন চলে আসার সময় তিনি আক্কাসকে ৫ রিংগিত টিপস দিয়েছিলেন।
আবারো ওস্তাদ হওয়ার মিশনে নামলেন মাহাথির। তাঁর সামনে মডেল হলো জিলাপি আর বাংলাদেশী পলিটিশিয়ান!
শত্রুকে মিত্র করলেন, মিত্রকে করলেন শত্রু!
তাঁর নিজের দলের প্রধানমন্ত্রীর (নাজিব রাজাক) বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি!
যে দল তাঁর আদর্শ ও দেখানো পথে চলে, সেই দলকেই পরিত্যাগ করলেন মাহাথির!
জিলাপীর প্যাঁচের এখানেই শেষ নয়!
যোগ দিলেন সেই দলে যে দলের প্রধান (আনোয়ার ইব্রাহীম)! তাঁরই ইশারায় জেলে আছেন বলে জোর গুঞ্জণ আছে!
আবার প্রধান সহযোগী করলেন সেই আনোয়ার ইব্রাহিম এর স্ত্রীকে!
জোটে নিলেন সে সব বিরোধী দলগুলোকে যারা সারাজীবন মাহাথিরের রাজনীতির বিরোধিতা করেছিল!
বাংলাদেশে বলা হয়ে থাকে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই…..ব্যাপারটা তিনি জানতে পেরেছেন!
নাজিব রাজাক বিচলিত!
মাহাথির তাঁর চিকন ফ্রেমের চশমা মুছতে মুছতে ভাবছেন, কেমন হলো তাঁর ” জিলাপির প্যাঁচ”!
ফলাফলঃ মাহাথির আবারও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত!
৯২ বছর বয়সে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন তিনিই ওস্তাদ এবং ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে!
Mahathir has become the king again!
But who is the king maker?….. নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের আক্কাস।….. এবং বাংলার জিলাপি!
[বিঃদ্রঃ শপথ গ্রহণের পর মাহাথির সাহেব সবাইকে বাংলাদেশি সেই রেস্টুরেণ্টের জিলাপি খাইয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
রেস্টুরেন্ট বয় আক্কাসকে তিনি “নেপথ্য রাজনৈতিক উপদেষ্টা” করতে যাচ্ছেন!
……..কিন্তু আক্কাসের মন খারাপ! গ্রামের বাড়ি থেকে খবর এসেছে তার ৭০ বছর বয়স্ক বাবা আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন!
যুক্তি হিসেবে তিনি বলছেন, মাহাথির যদি ৯২ বছর বয়সে পুরো দেশ সামলাতে পারেন, তাহলে তিনি ৭০ বছর বয়সে একটা নতুন বউ সামলাতে পারবেন না কেন?]
No comments